সমযোজী যৌগ অণুর মডেল তৈরি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK

সমযোজী যৌগ অণুর মডেল তৈরি

সমযোজী যৌগ অণুর মডেল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের তত্ত্ব এবং ধারণা ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে প্রধান উপাদানগুলো হলোঃ


১. লুইস বিন্দু গঠন (Lewis Dot Structure)

লুইস বিন্দু গঠন অণুর বৈশিষ্ট্য এবং বন্ধনের প্রকৃতি বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রতিটি পরমাণুর চারপাশে তাদের বৈলেন্স শেলের ইলেকট্রন বিন্দুর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।

  • উদাহরণ:
    পানির অণু (H₂O) এর জন্য, অক্সিজেনের চারপাশে দুইটি অযোজিত ইলেকট্রন যুগল এবং দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে বন্ধনযুক্ত ইলেকট্রন যুগল দেখানো হয়।

২. অরবিটাল হাইব্রিডাইজেশন

অণুর ত্রিমাত্রিক গঠন বোঝার জন্য অরবিটাল হাইব্রিডাইজেশনের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিভিন্ন ধরণের অরবিটাল মিশ্রণ হয়, যেমনঃ

  • spহাইব্রিডাইজেশন: রেখার মতো গঠন তৈরি করে।
  • sp² হাইব্রিডাইজেশন: ত্রিকোণ সমতল গঠন তৈরি করে।
  • sp³ হাইব্রিডাইজেশন: চতুর্ভুজাকৃতি গঠন তৈরি করে।

৩. ভিএসইপিআর (VSEPR) তত্ত্ব

ভিএসইপিআর তত্ত্ব অণুর ইলেকট্রন যুগলের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে অণুর জ্যামিতি নির্ধারণ করে।

  • উদাহরণ:
    মিথেন (CH4) অণুতে চারটি ইলেকট্রন যুগলের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফলে চতুর্ভুজাকৃতি গঠন হয়।

৪. মলিকুলার অরবিটাল তত্ত্ব

মলিকুলার অরবিটাল তত্ত্ব সমযোজী যৌগের ইলেকট্রনের গতি এবং বন্ধনের শক্তি ব্যাখ্যা করে। এখানে অণুর ইলেকট্রনগুলো মলিকুলার অরবিটাল তৈরি করে যা সম্পূর্ণ অণুতে ছড়িয়ে থাকে।


Content added By
Promotion